পিরিয়ড প্রতিটা নারীর জন্য এক প্রকৃতিগত সমস্যা। এসময় মেয়েরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে। পিরিয়ড চলাকালীন সময় মেয়েদের নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। কিন্তু এসব নিয়ম না জানা বা না মানার কারন এই সমস্যা আরও বাড়ে। পিরিয়ডের সময় প্রত্যকে মেয়ের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। কারন অপরিকল্পিত খাদ্যাভাস পিরিয়ড যন্ত্রনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
আরও পড়ুনঃ অল্প বয়সে চুল সাদা হচ্ছে? জেনে নিন কালো করার সমাধান
চলুন জেনে নেয়া পিরিয়ড চলাকালীন সময় কোন খাবার পরিহার করতে হবেঃ-
> পিরিয়ড চলাকালীন সময় কোন অবস্থাতেই ডিম খাওয়া যাবে না। ডিম এবং চিংড়ি মাছে যে উপাদান রয়েছে তা পিরিয়ড রক্তে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। এছাড়া ডিমের কুসুমে প্রচুর ফ্যাট রয়েছে তাই ডিম ও চিংড়ি মাছ পরিহার করত্র হবে।
> পিরিয়ডের সময় দুধ বা দুগ্ধজাতীয় খাবার যেমন-মাখন,মিষ্টি ইত্যাদি খাবার খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। এসব খাবার গ্যাস্ট্রুকেরও কারন যা পেটের পিড়া আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
> বেশি তেল দিয়ে রান্না করা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারন তেল জাতীয় খাবার গ্যাস্ট্রিকের অন্যতম কারন। এসময় যেকোন খাবারে তেল কম দেয়া উচিৎ। তাই রান্না করার সময় খেয়াল রাখবেন যাতে খাবারে কম তেল ব্যবহার করা হয়।
> অতিরিক্ত মসলাদার খাবার পরিহার করতে হবে। পিরিয়ডের এমনিতেও জরায়ু নিচে নেমে আসে বলে তল পেট ফোলাফাপা থাকে। তার উপর আবার মসলাদার খাবার পেটে ফাপাভাব আরও বাড়িয়ে দেয়। তাই খাবারে অল্প মসলা ব্যবহার করা উচিৎ।
আরও পড়ুনঃ টমেটো দিয়ে ফেসিয়াল করুন | ত্বকের দাগ দূর করুন
> অন্যান্য খাবারের তুলনার মেয়েরা ঝাল এবং টক খাবার বেশি পছন্দ করে। কিন্তু পিরিয়ড চলাকালীন সময় মোটেও ঝাল খাবার খাওয়া যাবে না। ঝাল খাবার খেলে পেটে জালা-পোড়া হতে পারে। এর ফলে পিরিয়ড জটিলতা আরও বৃদ্ধি পায়।
> কিছু কিছু মেয়ের ধারনা পিরিয়ডের সময় পানি কম পান করতে হয়। এর চেয়ে বড় ভুল ধারনা আর ২য় টা হতেই পারে না। পিরিয়ডের সময় পর্যাপ্ত পানি পাম করতে হবে। পানি পান করলে শরীরে তরলের ভারসাম্য বজায় থাকে। শুধু তাই না, পিরিয়ডের সময় তরল জাতীয় খাবার বাড়াতে হবে। বিশেষ করে রসালো ফলমূল খেতে হবে।
এভাবে অল্প কিছু খাদ্য পরিহার করে পিরিয়ডের অতিরিক্ত অস্থিরতা ও জটিলতা থেকে নিজেকে বাচাতে পারেন। নিজে এসব খাবার পরিহার করুন অন্যকে/আপনার বাদন্ধবীদের উৎসাহিত করুন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন