Nutritional Value and Benefits of Mango
Health and Food: আমকে বলা হয় ফলের রাজা। আমের মুখরোচক স্বাদ ও মন মাতানো ঘ্রানের সাথে অন্য কোন ফলের তুলনা চলে না। পৃথিবীর প্রায় সব দেশে আম পাওয়া গেলেও আম মূলত ভারতীয় উপমহাদেশীয় ফল। বাংলাদেশেও প্রচুর পরিমান আম উৎপাদিত হয়। আমকে বলা হয় ফলের রাজা। গ্রামাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি ঘরের আঙিনায় আম গাছ দেখা যায়। অনুকুল আবহাওয়ার কারনে বাংলাদেশে প্রচুর আম উৎপাদিত হয়। এই আম দেশের চাহিদা পূরন করে বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন করা হয়।
আরও পড়ুনঃ কমলার উপকারিতা ও পুষ্টিগুন
আমদের বিভিন্ন প্রজাতি রয়েছে। উল্লেখযোগ্য প্রজাতিগুলু হলোঃ
> ল্যাংড়া
> হিমসাগর
> ফজলি
> আম-রুপালী
> গোপালভোগ ইত্যাদি।
আমে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ডি ভিটামিন-সি এবং ভিটামিন বি-৬। আমে থাকা বিটাকেরোটিন সব বয়সের মানুষের হৃদরোগের ঝুকি কমিয়ে দেয়। ভিটামিন-সি, প্যাকটিন ও ফাইবার রক্তে থাকা কোলেষ্ট্ররেল নিয়ন্ত্রন রাখতে সহায়তায় তা করে। আমে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমানে পটাশিয়াম এবং খনিজ লবন। টারটারিক, সাট্রিক এবং ম্যালিক এসিড শরীরের অ্যালকালীর ভারসাম্য রক্ষা করে। আমে থাকা ভিটামিন-এ ও ভিটামিন-ডি ঠান্ডা বা ফ্লু রোগ হলে উপষম পাওয়া যায়। অতিরিক্ত স্বাস্থ বৃদ্ধি রোধ করতে নিয়মিত আম খাওয়া যেতে পারে। এতে করে শরীরে স্থুলতা বৃদ্ধু না পেয়ে ওজন কমে।
আমের সবচেয়ে বড় উপকারিতা হলো আমে থাকা কয়েকটি এন্টি-অক্সিডেন্ট ক্যান্সার নিরমায় করতে সাহায্য করে। যেমনঃ কোয়েরসেটিন, ফাইসেটিন, গ্যালিক এসিড, মিথাইল গ্যালিক। যা স্তন ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার ও লিউকেমিয়ার প্রতিরোধে কাজ করে।
তবে পাকা আমে প্রচুর পরিমানে সুগার থাকায় ডায়েবিটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আম খেতে হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন