মানুষ যেমন সুন্দর্যের পূজারী ঠিক নিজে সুন্দর হওয়া যা কিভাবে সেই চিন্তায় মগ্ন থাকে। সাইকোলোজিক্যাল একটা তত্ত হচ্ছে কোন মানুষ যখন আয়নার সামনে দাড়ার তখন সে তার প্রকৃত রুপের চেয়ে ১০গুন বেশি সুন্দর ভাবে। সবাই চায় নিজেকে অন্যের কাছে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করাতে। তাকে দেখে যেনো মানুষ তার রুপের প্রংসা করে। আর তাই মানুষ বেশিরভাগ সময় নিজের রূপ চর্চা নিয়ে ব্যাস্ত থাকে।
প্রাচীন কাল থেকে মানুষ রূপ চর্চা করে আসছে। আর এই প্রয়োজন মানুষকে উদ্ভাবনের এক অনন্য সীমায় নিয়ে গেছে। মানুষ নিজের প্রয়োজনে খুজে বের করছে রূপ চর্চার লুকানো রহস্য। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার যুগ থেকে শুরু করে বর্তমান আধুনিক যুগ কোন দিক থেকে মানুষ রূপ চর্চায় পিছিয়ে ছিলো না।বিজ্ঞান যত আধুনিক হচ্ছে বলতে গেলে মানুষও নিজেকে রুপচর্চার মাধ্যমে সেই আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে মানিয়ে নিতে চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুনঃ টমেট দিয়ে ত্বকের দাগ দূর করু।
তবে বিজ্ঞান যতই আধুনিক হোক না কেনো, প্রয়োজেনের সব কিছু প্রকৃতি থেকেই উদ্ভব হয়।এ্যালোভেরাও এমন এক গাছে নাম যার উপকারের কথা বলে শেষ করা যাবে না। আর রুপচর্চায় এর ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে ত্বকের দাগ দূর করতে এ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী গুরুত্ব অপরিসীম। আপনার মুখ, গলা, হাত অথবা পায়ে যদি অবাঞ্চিত কোন দাগ থাকে তাহলে এ্যালোভেরার মাধ্যমে খুব সহজেই দূর করতে পারেন।
ব্যবহারের জন্য খুব সহজ একটা ফেস প্যাক তৈরি করতে হবে। যা তৈরি করতে মাত্র কয়েক মিনিট লাগবে।
উপকরনঃ
> এ্যালোভেরা - ১ টেবিল চামচ
> মধু - ১ টেবিল চামচ
> হলুদ - ১ টেবিল চামচ
> বেসন - ১ টেবিল চামচ
প্রথমে একটি পরিষ্কার বাটি নিন। এবার এতে পরিমান মত ঠান্ডা পানি নিন। এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এবার এতে এ্যালোভেরা পেষ্ট, হলু এবন বেসন মিশিয়ে নিন। মিশ্রনটি ভালভাবে নেরে মিশিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন যাতে মিশ্রনটি সুষম হয়। এবার তৈরি করা পেষ্ট আপনার মুখে লাগিয়ে নিন। যদি গলায়, বুকে, হাত অথবা পায়ে কোন অবাঞ্চিত দাগ থাকে সেখানেও লাগিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট রাখার পর ঠান্ডা পানি নিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এভাবে ২ থেকে ৩ সপ্তাহ ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বক হবে আরও ফর্সা, উজ্জ্বল ও মশ্রিন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন