কটন বাট, আমরা সবাই চিনি। ছোট পাইপ জাতীয় কিছু একটা যার দুই পাশে তুলোর মর নরম ফাইবার থাকে। আমরা এই কটনবাট মূলত কান চুলকানোর জন্য ব্যবহার করি। কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন এই কটনবাড কখনোই কান চুলকানোর জন্য তৈরি করা হয়নি। অথচ আমরা মনে করি কান চুলকানো মানেই কটনবাড।
চলুন জেনে নেই কটন বাড দিয়ে কান চুলকালে কানের কি কি ক্ষতি হতে পারে।
১) কান পরিষ্কার জন্য আপনি যখনই কটন বাট কানে ভেতরে ঢুকাবেন তখন এতে থাকা তুলা কানে থাকা ময়লা ঠেলে ভেতরে নিয়ে যাবে। এতে করে আপনার কানতো পরিষ্কার হবেই না বরং কানের ভেতর আরও ময়লা জমাট বাধবে। শুধু তাই নয় কটন বাডে থাক তুলার ছোট ছোট ফাইবার আপনার কানে স্থায়ীভাবে আটকে থাকতে পারে।
আরও পড়ুনঃ উটকে জীবন্ত সাপ খাওনো হয় কেন?
২) কটন বাডে থাকা তুলায় ফাংগাস থাকতে পারে। আন-হাইজেনিক কটন বাড যখন কানের ভেতরে ঢুকাবেন তখম তুলায় লেগে থাকা জীবানু আপনার কানের ভেতরে থেকে যায়।
৩) কটন বাড দিয়ে কান চুলকানোর কারনে কানের চারপাশে ছোট ছোট আঘাতের সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে আন-হাইজেনিক তুলা সেই আঘাতে জীবানু ঢুকিয়ে দেয়।
৪) এছাড়া কানে রক্ত ক্ষরন সহ কানের পর্দা ফুটো হয়ে যেতে পারে। যার ফলে আপনার শ্রবন ক্ষমতা কমে যাওয়া সহ হারাতে পারেন শ্রবন ক্ষমতা।
তাই কখনই কান চুলকানোর সময় কটন বাড ব্যবহর করা উচিৎ না।
তাহলে কান চুলকালে প্রতিকার কি?
প্রথমত, নিজের কান নিজের কান কখনও চুলকানো উচিৎ না। এতে করে আপনার কান্রর ক্ষতি হতে পারে। এবিষয় অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।কা চুলকানো রোধের ডাক্তারের প্রেস্ক্রিশন অনুযায়ী ঔষোধ গ্রহন করতে হবে।
আসলে কানে যখন খৈল জমাট বাধে তখনই কান বেশি চুলকায়। যখনই কানে খৈল যমাট বাধবে সাথে সাথে ডাক্তার দেখাতে হবে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মেডিসিন সেটাকে সাকশন করে বের করে ফেলবে।
তাই আজ থেকে কান চুলকানোর জন্য কখনই কটন বাড ব্যবহর করবেন না। যেকোন সমস্যার জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
সুস্থ থাকুন, ভাল থাকুন, নিরাপদে থাকুন। মনে রাখবেন সুস্থিতা আল্লাহ তআলার অনেক বিড় নেয়ামত।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন