দুটি কাজ স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া করতে পারবেন না

স্বামী-স্ত্রী, এই সম্পর্ক মহান আল্লাহ তা'আলার কাছে অনেক প্রিয় সম্পর্ক। হাদিসে বর্নিত আছে স্বামী-স্ত্রী যদি একে অপরের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে, মহান আল্লাহ সেই দম্পতির দিকে তাকিয়ে মহান আরস থেকে হাসি দেয়। তাই এই সম্পর্ক সব সময় মধুর রাখা জরুরী। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় স্ত্রীদের স্বামীর প্রতি বাধ্য করে রাখা হয়। স্বামী যা বলে তাই করতে হয়। কিন্তু এমন কিছু কিছু কাজ আছে যার জন্য স্ত্রীর কাছে স্বামী বাধ্য থাকতে হয়। আর এসব কাজ ইসলাম সমর্থিত।

বিয়ের দেনমোহর দেয়ার বিধান কি

আজকে এমন দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলবো, যা কোন স্বামী স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া করতে পারবে না। আপনি বিবাহিত হয়ে থাকলে অথবা যদি বিবাহ করার কথা চিন্তা করে থাকেন তাহলে এই দুটি বিষয় অবশ্যই জেনে নিন। কারন এর দ্বারা স্ত্রীর হকও আদায় হবে। আর না করলে হক আদাত করা হবে না। আসুন জেনে নেই দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কি কি।

১) প্রথমত, পূর্বের জামানায় যখন বিবাহ হতো তখন বিবাহের রাতেই স্ত্রীর মোহরানা পরিশোধ করা হতো। কিন্তু বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় বিবাহের দেন মোহর আমাদের কাছে ফেশন হয় গেছে। ৫ লাক্ষ ১০,১৫,২০ লাখ টাকা দেন মোহর ধার্য্য করে বিবাহ হয়। কন্যার আত্মীয় স্বজন মনে করে যত বেশি দেনমোহর তাদের মেয়ে স্বামীর বাড়িতে তত বেশি সুরক্ষিত ও নিরাপদ। ধার্য্যকৃত দেনমোহরের কিছু টাকা পরিশোধ করে স্বামী-স্ত্রী সংসার জীবিন শুরু করে। কিন্তু আমাদের জানা উচিৎ,  দেনমোহরের টাকা সম্পুর্ন পরিশোধ না করা পর্যন্ত স্ত্রীকে স্পর্শ করা যাবে না। যদি স্বামী তার স্ত্রীর দেন মোহর পরিশোধ না করে শারীরিক মেলামেশা করতে চায় তাহলে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই স্ত্রীর অনুমতি নিতে হবে। স্ত্রী অনুমতি না দিকে কখনই তার স্বামী শারীরিক মেলামেশা করতে পারবে না। অথচ আল্লাহ'র দেয়া ধর্মীয় এই বিধানের তোয়াক্কা না করে খেয়াল খুশি মত দেন মোহর ধার্য্য করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়ে পরি। 

২) দ্বিতীয় যে বিষয় নিয়ে সেটা আরও স্পর্শ কাতর। বিয়ে করে যারা প্রবাসে চলে যায় বা বউকে রেখে যারা দিনের পর দিন দূরে থাকে তারা জানেনই না এর জন্যও বউয়ের কাছে অনুমতি নিতে হয়। কোন স্বামী যদি তার স্ত্রীকে ছেড়ে দূরে বসবাসের প্রয়োজন হয় তাহলে স্ত্রীর কাছে অমুমতি নিতে হবে। যদি কোন স্বামীর ছয় মাসের বেশি স্ত্রীকে ছাড়া থাকতে হয় তাহলে স্ত্রী কাছে অনুমতি নিতে হবে। স্ত্রী যদি অনুমতি দেয় তাহলেই কেবল থাকতে পারবেন। অন্যথায় স্ত্রীর কাছে চলে আসতে হবে। অথচ যারা বিয়ের পর প্রবাস জীবন যাপন করে তারা বছরের পর বছর স্ত্রীকে দেশে রাখে।

এই পোষ্ট থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিৎ। বর্তমান বিকলাঙ্গ সমাজ ব্যবস্থা অনুসরন না করে বরং ইসলাম আমাদের কি শিক্ষা দিচ্ছে সেই বিষয় বিবেচিনায় রেখে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিয়ের পর পরই স্ত্রীর দেন মোহর পরিশোধ করুন অথবা তার সাথে শারীরিক মেলামেশা করার আগে তার অনুমতি নিন। আপনি প্রবাসী হয়ে থাকলে বা কাজের জন্য স্ত্রীকে রেখে ছয় মাসের বেশি তাকে ছাড়া থাকতে হলে অবশ্যই স্ত্রীর অনুমতি নিন। স্ত্রী অনুমতি না দিকে আপনাকে তার কাছে আসতেই হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন