বিশুদ্ধ পানির অপর নাম জীবন। পৃথিবীতে তিন শত ছাব্বিশ মিলিয়ন ট্রিলয়ন গ্যালন পানি আছে। যার মধ্যে মাত্র ৩ ভাগের কম পানি পান করার যোগ্য। পানির প্রয়োজনীয়তা হয়তো আমরা উপলব্ধি করি না। কিন্তু মধ্য প্রাচ্যের দেশ গুলুতে পানি সোনার চেয়ে দামী। বাংলাদেশের মত সেখানে চাইলেই নলকূপ বসিয়ে পানি পাওয়া যায় না। পান করার জন্য বোতলজাত পানির উপর একমাত্র ভরসা।
পৃথিবীর সব দেশেই বোতলজাত পানি পাওয়া যায়। যাইহোক আজকের আলোচনার বিষয় সেটা না। দোকান থেকে কোন পণ্য কিনলে সেই পণ্যের গায়ে পণ্য উৎপাদনের তারিখ পাশাপাশি সেই পণ্যের মেয়াদ উত্তির্নের তারিখ লেখা থাকে। অর্থাৎ সেই নির্দিষ্ট তারিখের পর পিণ্যটি আর ব্যবহার করা যাবে না। কারন মেয়াদ উত্তির্ন হওয়ার পর পণ্যের গুনগন মান নষ্ট হয়ে যায় বা কার্যকরীতা শেষ হয় যায়। ঠিক একইভাবে পানির বোতলের উতপাদনের তারিখ এবং ব্যবহারের মেয়াদ উল্লেখ থাকে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, পৃথিবীতে কোটি কোটি গ্যালন পানি আছে তাহলে এতো পানি কেনো নষ্ট হচ্ছে না? এসব পানির মেয়াদ উত্তির্নের সময়সীমা কতকাল? নাকি পরিমানে বেশি বলে নষ্ট হতে অনেক সময় লাগে? অনেক প্রশ্ন মাথায় ঘুর পাক খাচ্ছে হয়তো। আসুন উত্তর খুজি।
আপনারা হয়তো জানেন, মধু একমাত্র খাবার যা কোন দিন নষ্ট হয় না, তদ্রুপ পানিও এমন খাবার যা কোনদিন নষ্ট হয় না। এজন্যই প্রাকৃতিক পানি কোনদিন নষ্ট হয় না এবং হবেও না। কারন যদি প্রকৃতির পানি নষ্ট হয়ে যেতো তাহলে পৃথিবীতে প্রানের অস্তিত্ব অচিরেই বিলিন হয়ে যেতো। এই হচ্ছে মহান আল্লাহর-তাআলার নিয়ামতের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাই আমাদের উচিৎ এই মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রতিনিয়ত কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা।
পানির বোতলে যে মেয়াদ উত্তির্নের তারিখ লেখা থাকে সেটাকে আমরা ভুল করে পানির মেয়াদ উত্তির্নের তারিখ ভেবে বসি। আসলে এটা পানির মেয়াদ নয়। এটা হলো বোতলের মেয়াদ। অর্থাৎ উক্ত তারিখের পর বোতলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে এবং বোতল ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে বোতলের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে কোম্পানি শুধু বোতল পরিবর্তন করে সেই পানিই আবার নতুন করে বোতলজাত করে বাজারে ছেরে দেয়। এই হচ্ছে পানির বোতলে মেয়াদ উত্তির্নের তারিখ লেখার মূল রহস্য
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন