আল্লাহ পৃথিবীতে নারী পুরষ সৃষ্টি করেছেন একে অপরের পরিপূরক হিসেবে। আদম (আঃ) ও হাওয়া (আঃ) এর জমানা থেকে একে অপরের জীবন সঙ্গী হিসেবে আল্লাহর দেয়া বিধান অনুযায়ী বিবাহ বন্ধনের মাধ্যমে জীবন চালিয়ে আসছি।
বিবাহের পর স্বামী স্ত্রীর একে অন্যের সাথে যৌন মিলনে লিপ্ত হবে এটা ইসলামের বিধান। যেহেতু এটা ইসলামের বিধান সেহেতু ইসলামের বিধান অনুযায়ী স্বামী স্ত্রীর মিলন করবে। বেশ কিছু নিয়ম অনুসরন করে স্ত্রীর সাথে মিলন করতে হবে। আজকে তেমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করা হবে।
প্রত্যেক মেয়েদের মাসে ৪-৭ দিনের জন্য মাসিক হয়। আর এ সময় যৌন মিলন করা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম। আর স্বামীর যৌন মিলনের ইচ্ছে জাগবে এটা স্বাভাবিক বেপার। কিন্তু তখন যদি স্বামী স্ত্রী যৌন মিলনে লিপ্ত হয় তখন সেটা হারাম হবে। কিন্তু অনেক স্বামী খুবই ঘৃণ্য একটা কাজ করে। তা হলো পায়ু পথে মিলন। পায়ু পথে মিলন করা হালাল না হারাম এ নিয়ে ধর্মীয় মত পার্থক্য আছে। তবে বেশিরভাগ আলেমগন পায়ু পথে মিলন করাকে হারাম বলে গন্য করেন। শুধু তাই নয়, ডাক্তারি বিদ্যায়ও পায়ু পথে মিলন করাকে সমর্থন করে না। তাদের মতে পায়ু পথে মিলনের ফলে স্বামী স্ত্রী উভয়ে নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। কারন এতে অনেক রোগের জীবাণু থাকে।
তাহলে এসময় স্বামীরা কি করবে?
এ সময় স্বামীদের করণীয় হচ্ছে ধৈর্য ধরে থাকা। শুধু তাই নয়, মাসিকের ফলে স্ত্রীর যে যন্ত্রনা হয় সে সময় তার পাশে দাঁড়ানো। মাসিকের যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেতে মানষিকভাবে স্ত্রীকে সান্তনা দেয়া। তাই একজন সত্যিকারে স্বামীর কাজ হচ্ছে স্ত্রীর মাসিকের সময় তার সাথে মিলন করে তাকে যন্ত্রনা না দিয়ে বরং মাসিকের যন্ত্রনা থেকে রেহাই পেতে স্ত্রীর পাশে থেকে তাকে সাপোর্ট করা। এভাবেই একটা সংসার জীবন প্রকৃত সুখের সংসারে পরিনত হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন