কান্না জড়িত ভক্তের আবদার পূরন নেইমারের

বিশ্বকাপ কোয়াটার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার সাথে ব্রাজিলের হার। কান্নায় ভেঙে পরেন নেইমার সহ সতীর্থরা। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে গোল শূন্যে শেষ হলে অতিরিক্ত যোগ করা হয় আরও ৩০ মিনিট। পুরু ম্যাচে এই ৩০ মিনিট ছিলো দুই দলে আক্রমনের মিছিল। অবশেষে ব্রাজিলের পোষ্টার বয় সেলেসাওরাদের, ১-০ গোলের লিড এনে দেয়। কিন্তু সেই আনন্দ বেশিক্ষন উপভোগ করতে পারেনি ব্রাজিল। ১১৭ মিনিটে দুর্দান্ত গোলে ম্যাচে সমতা ফেরা পেকেভিচ। এরপর ব্রাজিলকে টাইব্রেকারে নিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। যার ফলাফল ফুটবল প্রেমীদের জানা।




এভাবে বিশ্বকাপের হেক্সা মিশন থেকে বিদায় নেয় সেলেসাওরা। বিদায়ে সময় চোখ জলে ভাসিয়ে যখন ব্রাজিলিয়ানরা কান্নায় ভেঙে পরেন ঠিক তখনই নজরকারা এক ঘটনার জন্ম দিলে ব্রাজিলিয়া সুপার স্টার নেইমার। বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েও নিজের স্পোর্টসম্যানশীপ ভুলে যাননি নেইমার। কান্না জড়িত চোখে ক্রোয়েশিয়ার শিশু ভক্তের আবদার পূরন করলেন। ছেলেটি কান্না করতে করতে সিকিউরিটি উপেক্ষা করে নেইমারের দিকে এগিয়ে আসে। আর এই ঘটনা এড়ায়নি জলে ভেজা নেইমারের চোখ। এগিয়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরলেন সেই শিশুকে। কিন্তু কে এই শিশু। যে ক্রোয়েশিয়ার জার্সি গায়ে নেইমারকে জড়িয়ে ধরতে শত বাধা উপেক্ষা করে মাঠে নেমে যায়। নিরাপত্তা রক্ষিরা তাকে ফিরিয়ে নিতে চাইলেও নেইমার তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে ছোট শিশুর আবদার পূরন করলেন।

প্রশ্ন আসে কে এই শিশু। সে আর কেউ নয়। ক্রোয়েশিয়ান স্টার পেরেসিকের সন্তান ক্রোয়েশিয়ার জার্সি পরে এগিয়ে আসেন নেইমারের দিকে। তাকে আটকে দিতে চান নিরাপত্তা কর্মীরা। কান্না করতে থাকে নেইমারের নজর এড়ানি। এগিয়ে গিয়ে বোকে টেনে নেনে পেরেসিকে জুনিয়রকে। এভাবে নিজের স্পোর্টসম্যানশীপের পরিচয় দিয়ে বিশ্ব জুড়ে প্রশংসীত হচ্ছে নেইমার।

আনন্দের সময় এমন অনেক ঘটনার সাক্ষী হয়েছে অনেক দলে সুপাস্টাররা। তবে বিশ্বকাপের মত বড় মঞ্চ থেকে বিদায় নেয়ার পর মানুষিক অবস্থা ভালে থাকে না কো খেলোয়ারের। মেজাজটাও থেকে খিটখিটে। আর এই সময় প্রতিপক্ষ দলের জুনিয়রকে বুকে টেনে এক অনন্য ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইলেন নেইমার জুনিয়র। দুঃখের সময় চোখে অশ্রু নিয়ে যে অন্যকে বুকে টেনে নেয় সেইতো আসল স্টার। আর সেই পরিচয়ে নিজেকে সম্পূর্নরুপে মেলে ধরলেন নেইমার।



Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন