জুয়ার আসক্তি কতটা ক্ষতিকর তা বলে বোঝানোর মত না। আসক্তির শেষ সীমায় পৌছে যাওয়ারা এমন এমন কাজ করেন যা কল্পনাকেও হার মানাবে। প্রাচীক কাল থেকেই জুয়া খেলার আসক্তি সম্পর্কে অবাক করা সব তথ্য পাওয়া যায়। প্রাচীন রাজা বা জমিদারগন রাজ সম্পদ, হাতি, ঘোড়া, তলোয়ার, নিজ রাজ্য কিংবা স্ত্রীকে বাজি রেখে জুয়া খেলতেন। হারতে হারতে সব কিছু ফুরিয়ে গেলে নিজেকেই বাজি রেখে বসে পরতে জুয়ার আসরে। বাজির এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখা যায় বর্তমান ডিজিটাল যুগে।
সম্প্রতি ভারতের উত্তর প্রদেশ প্রতাপ গরের এক বিবাহিত নারী লুডু খেলায় নিজেকে রেখে হেরে গেছেন বলে পুলিসের কাছে অভিযোগ করেন এক ব্যাক্তি। ভারতীয় অই ব্যাক্তির অভিযোগ সঞ্চয়কৃত টাকাসহ নিজেকে বাজি ধরেছিলেন বাড়ির মালিকের সাথে। অই ব্যাক্তির অভিযোগ প্রায়ই বাড়ির সাথে বাজিতে লুডু খেলতেন তার স্ত্রী। তিনি আরও অভিযোগ করেন বাড়িতে নিয়মিত টাকা পাঠালেও তা সংসারে কাজে খরচ না করে বাজি খেলে উড়িয়ে দিতেন।
এভাবে বেপরোয়া এই নারী একদিন নিজেকেই বাজি ধরে বসেন। খেলায় হেরে যাওয়ার পর খেলার নিয়ম অনুযায়ী সন্তানদের ফেলে তার স্ত্রী বাড়ির মালিকের ঘরে চলে যায়। মুঠোফোনে নিজের স্বামীকে এ কথা জানা তার স্ত্রী। খবর পেয়ে তার স্বামী দ্রুত বাড়িতে ছুটে আসেন। বাড়িতে এসে সন্তানদের দায়িত্ব দিয়ে থানায় অভিযোগ করেন। তিনি বলেন ছয় মাস ধরে রজস্থানে থেকে যে অর্থ উপার্জন বাড়িতে পাঠিয়েছেন তা বাজি ধরে নষ্ট করেছেন।
তার পক্ষ থেকে বার বার স্ত্রীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাতে কোন লাভ হয়নি। অই নিজের শর্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, এই বলে তিনি আর তার বাড়িতে আসবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন