উটকে জীবন্ত সাপ খাওয়ানো হয় কেনো?

মহা পবিত্র আল কোরআনের সুন্দর একটি রহস্যময় বিষয় হলো উটকে কেনো জীবন্ত সাপ খাওয়ানো হয়। দিগন্ত বিস্তৃত মরুভূমির বুকে মরুবাসীর জন্য উট আল্লাহর আশীর্বাদ সরূপ। উটকে বলা হয় মরুভূমির জাহাজ। অবশ্য জাহাজ বলার যথেষ্ট যৌক্তিকতা রয়েছে। মরুভূমির পানিশূন্য আবহাওয়ায় উটের মত অন্য কোন প্রাণী সাবলিলভাবে টিকে থাকতে পারে না।




মরুর বাসিন্দা বা যাযাবরদের আর কিছু না থাকলেও একটি করে উট পালন করে। ধীর গতিতে হেটে যাওয়া দেখে মনে হতে পারে উট দূর্বল কোন প্রাণী। অথচ একটা উট ঘন্টায় ৪০ মাইল বেগে দৌড়তে পারে। উটের পা মরুর গরম বালির উপর দিয়ে উপযোগী। উট ৫৭ ডিগ্রি তাপমাত্রায় মরুর বুকে বেচে থাকতে সক্ষম। উটের গায়ের চামড়া সূর্যের আলো বিকিরন করে ত্বককে রক্ষা করে। মরুভূমির পানিশূন্য রুক্ষ পরিবেশে টানা ৩৫ দিন পানি পান না করেই কাটিয়ে দিতে পারে।


আরও পড়ুনঃ কটনবাট দিয়ে কান চুলকানোর ক্ষতিকর দিক


কিন্তু আপনি জানেনকি উটকে কেনো জীবন্ত সাপ খাওয়ানো হয় ? আর তাও যেনো তেনো সাপ নয় পৃথিবীর অন্যতম বিষধর সাপ খাওয়ানো হয়। যে সাপের কামড় খেলে মানুষসহ অন্যান্য জীব কয়েক মিনিটের মধ্যে মারা যায়।

পবিত্র আল-কোরআনে উটের এক অদ্ভুত রোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যে রোগ হলে উট খাওয়া দাওয়া একে বারে ছেড়ে দেয়। উট মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত উট সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকে। এ অবস্থায় উট নিজে নিজে বিষাক্ত সাপ জেন্ত খেয়ে নেয় আবার মাঝে মাঝে উটের মালিকেরা সাপ বিষাক্ত সাপ খায়িয়ে দেয়। সাপের বিষের প্রভাবে উট পানির পিপাশায় কাতরাতে থাকে। এভাবে উটের চোখ থেকে আট ঘন্টা অনবরত পানি পরতে থাকে। বিজ্ঞানীরা বলেন উটের এই চোখের অনেক মূল্যবান। এই পানি অন্য সব পানি থেকে সম্পূর্ন আলাদা। উটের চোখের এই পানি যেকোন বিষকে নষ্ট করে ফেলতে পারে। আদিম কালে এই পানি চামড়ার বেগে সংরক্ষন করা হতো। কারন মরুভূমিতে বিচরন কালে কাদের সাপ ব অন্যান্য বিষাক্ত পোকা-মাকড় কামড়ালে সেই পানির সাহায্যে নিজেদের চিকিৎসা করতো।

এর মাধ্যমে মহান আল্লহ তা'আলা স্বরন করিয়ে দিয়েছেন জাহান্নামিদের সাথে এমন আরন করা হবে। জাহান্নামিরা পানির পিপাসায় এক চুমুকে টগবগে গরম পানি পান করবে। এমনভাবে পানি পান করবে যেমন মনে হবে উট এক চুমুকে এক সাগর পানি পান করে। তাই আল্লাহর রাসূল (সঃ) তার উম্মতদের তিন চুমুকে পানি পান করার নির্দেশ দিয়েছেন। 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন