ক্যান্সার প্রতিরোধে নিয়মিত পেয়ারা খান
Guava Fruit: দেশীয় ফল হিসেবে পেয়ারা প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। এটি সহজলভ্য দামে সস্তা। এছাড়াও পেয়ারার রয়েছে অনেক পুষ্টি গুন। আমাদের শরীরে পুষ্টির অভাব পুরন এবং স্বায়ী রোগ প্রতিরোধ করতে পেরারার জুরি নেই। আমলকির পর একটি পেয়ারায় সবচেয়ে বেশি ভিটামিন সি আছে। পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ পেয়ারায় রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা।
আরও পড়ুনঃ কমলার পুষ্টি গুন ও উপকারিতা
পুষ্টি উপাদানঃ ভিটামিন সি-এর উৎকৃষ্ট উদাহরন হচ্ছে পেয়ারা। যা মুখ গহ্বর দাত ও মাড়ি স্বুস্থ্য রাখে। পরিপক্ক আকারের একটি পেয়ারায় রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি, কে, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, প্রোটিন, খনিজ পদার্থ, ফাইবার। বড় আকারের একটি পেয়ারায় প্রচুর পানি রয়েছে। পুষ্টিবীদদের মতে একটি পেয়ারায় এক হালি কমলালেবু এবং আপেলের পুষ্টিগুন রয়েছে।
প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় রয়েছে
ভিটামিন বি১ - ০.২১ মিলিগ্রাম
ভিটামিন বি২ - ০.৯ মিলিগ্রাম
প্রোটিন - ১.৪ গ্রাম
খাদ্য শক্তি - ৭৩ কিলো ক্যালরি
কার্বোহাইড্রেট - ১৫.২ গ্রাম
মিনারেল - ০.৬ গ্রাম
আয়রন - ১.৪ মিলিগ্রাম
থায়ামিন ০.৩ মিকিগ্রাম
রিবোফ্লেভিন - ০.৩ মিলিগ্রাম
ফসফরাস - ২৮ মিলিগ্রাম
ক্যালশিয়াম - ২০ মিলিগ্রাম
আরও পড়ুনঃ আমের পুষ্টি গুন ও উপকারিতা
রোগ প্রতিরোধে
পেয়ারায় প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-সি ও এন্টি এক্সিডেন থাকে যার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, শরীরে বিভিন্ন রোগ জীবাণোর সাথে লড়াই করে। কেটে যাওয়া স্থান দ্রুত শুকাতে পেয়ারায় থাকা এন্টি-অক্সিডেন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পেয়ারায় থাকা পানিতে ডায়াবেটিস উপশমকারী উপাদান রয়েছে।
ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ পেয়ারায় থাকা এন্টি-অক্সিডেন্ট এবং লাইকোপেন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। প্রোষ্টেট ও স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে পেয়ারা বেশ কার্যকরী।
দৃষ্টি শক্তি বাড়াতেঃ কাচা পেয়ারা ভিটামিন-এ এর ভাল উৎস। কাচা পেয়ারায় থাকা ভিটামিন এ চোখের কর্নিয়া সুস্থ্য রাখে ও রাতকানা রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। চোখে ছানি পরা সমস্যা থাকলে পেয়ারা খেলে ছানি পরা রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনঃ একটি গবেষনায় দেখা গেছে নিয়মিত পেয়ারা খেলে রক্তে লিপিডের পরিমান কমে আসে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে থাকে। ১৯৯৩ সালে জার্নাল অফ হিউম্যান হাইপাটেনশনে প্রকাশিত হয় নিয়মিন পেয়ারা খেলে উচ্চ রক্তচাপ কমে। পেয়ারায় থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ত্বক সুস্থ রাখেঃ পেয়ারায় থাকা পানি ত্বক সুস্থ রাখে। পেয়ারার পানি ত্বকের রুক্ষ ভাব কমায়। শীতকালে ঠোট ফাটা, পা ফাটা রোধে এবং ত্বকের আদ্রতা নিয়ন্ত্রন করে তারুন্য ধরে রাখে।
এছাড়া পেয়ারায় থাকা আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সাহায্য করে এবং দেহের রক্ত শূণ্যতা প্রতিরোধ করে। কোষ্ঠ্যকাঠিন্য রোগ প্রতিরোধে পেয়ারা কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
দেশীয় ও সস্তা ফল হওয়ার পেয়ারাকে অবহেলা করার কোন সুযোগ নেই। বরং সুস্থ থাকার জন্য পেয়ারা জাতীয় দেশীয় ফল নিয়মিত আমাদের খাদ্য তালিকায় থাকা উচিৎ। এসব ফল নিয়মিত আমাদের অভ্যাসে পরিনত হওয়া প্রয়োজন। তাই প্রতিদিন একটি করে হলেও পেয়ারা খাওয়া উচিৎ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন