পৃথিবীতে ভেঙে পড়বে আন্তর্জাতিক মহাকাশ ষ্টেশন

অবসরে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ ষ্টেশন



পৃথিবীতে ভেঙে পরবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ ষ্টেশন ISS। এমনটাই বলছে নাসার বিজ্ঞানীরা। ISS এর অনেক যন্ত্রাংশ অনেকজো হয়ে গেছে নেই আগে মত কর্ম ক্ষমতা। ৯০ দশকের প্রযুক্তি দিয়ে চলছে এখনকার মহাকাশ ষ্টেশন। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার তথ্য অনুযায়ী আর মাত্র নয় বছর পর পৃথিবীতে ভেঙে পরবে ISS। ২০৩০ সাল পর্যন্ত স্বাভাবিক কার্যেচালিয়ে যাবে ISS। ২০৩১ সালের জানুয়ারিতে প্রশান্ত মহাসাগরে ভেঙে পরে শেষ হবে এর কার্যক্রম।



কক্ষপথ থেকে সরে গিয়ে সমূদ্রে পরে যাবে এই ষ্টেশন। পৃথিবীর সবচেয়ে দূর্গম স্থান হিসেবে চিহ্নিত প্রশান্ত মহাসাগরের পয়েন্ট নেমোতেই ভূ-পাতিত করা হবে এই ষ্টেশন। যেকোন ভূ-খন্ড থেকে পয়েন্ট নেমোর দূরত্ব ২ হাজার ৭শত কিলোমিটার। অনেক পুরুনো মহাকাশযান, স্যাটেলাইট ও মহাকাশ বর্জ্য এই স্থানে জমা আছে। ২০০১ সালে রুশ মহাকাশ ষ্টেশন মিরের ধ্বংসাবশেষ এখানে ভেঙে পরেছিলো।



আন্তর্জাতিক মহাকাশ ষ্টেশন পরিচালনার দায়িত্বে আছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাচটি মহাকাশ গবেষনা সংস্থা। ১৯৯৮ সালের ২৯ নভেম্বর পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করা হয় আন্তর্জাতিক মহাকাশ ষ্টেশন। একবিংশ শতকের শুরু থেকে মহাকাশের ৩ হাজারেরও বেশি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে এই ষ্টেশনে। ২০২৪ সাল পর্যন্ত ISS এর কার্যক্রম পরিচালনার কথা থাকলেও পাচটি মহাকাশ গবেষনা সংস্থা এর কার্যক্রম ২০৩০ সাল পর্যন্ত চালিয়ে নেয়ার জন্য নীতিগতভাবে এক মত হয়েছে।



উৎক্ষেপনের পর থেকে এখন পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ ষ্টেশন। পৃথিবীকে প্রতি ৯০ মিনিটে একবার প্রদক্ষিন করে এই ষ্টেশন। ১৫০ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মান করা এই মহাকাশ ষ্টেশন মানুষ নির্মিত সবচেয়ে ব্য্যয় বহুল স্থাপনা। রাশিয়ার মহাকাশ ষ্টেশন নির্মানে খরচ করা হয়েছিলো ৪.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। 



Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন