কিভাবে মোটা হবেন?
আপনার বয়স অনুযায়ী যদি মনে হয় আপনার ওজন কম ও এবং ওজন বাড়ানো দরকার তাহলে আমি আপনাকে কয়েকটি কার্যকরী উপায় বলবো। ২মাস নিয়ম করে চললে আপনি সহজে আপনার ওজন বাড়াতে পারবেন। আপনি হয়তো অনেকের কাছে ওজন বাড়নানোর অনেক উপায় খুজে বেরিয়েছেন। ওজন বাড়তে আপনাকে হয়তো অনেকে অনেক ধরনের পরামর্শ দিয়েছে কিন্তু কোন লাভ হয়নি। কিন্তু আজকে আপনাকে আমি ওজন বাড়ানোর বেশ কয়েকটি উপায় বলবো।
আরও পড়ুনঃ কোন খাবার কিডনি ও লিভার নষ্ট করে?
ওজন বাড়ানোর প্রধান শর্ত হচ্ছে খাদ্য ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা। অর্থাৎ নিয়ম করে সময় মত খাবার গ্রহন করা। আপনাকে নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্য খাবার গ্রহন করতে হবে। কখনও অসময়ে খাবার গ্রহন করা যাবে না। আমরা মনে করি বেশি বেশি খেলে মোটা হওয়া যায় এটা আসলে মারাত্মক ভুল ধারনা। বেশি বেশি খেলে আপনার শরীরের স্থুলতা দেখা দিবে। পেট বেড়ে যাবে চর্বি হবে এতে আপনি আরও বিপদে পরবেন। আজকে এমন কিছু খাবারের কথা বলবো যে খাবার নিয়মিত খেলে ২ মাসের মধ্যে আপনার স্বাস্থ্য বাড়বে।
১) টক দইঃ আপনারা হয়তো বলতে পারেন টক দই কিভাবে মোটা হতে সাহায্য করে? আপনার কথাই সঠিক, টক দই কখনও মোটা হতে সাহায্য করে বরং স্বাস্থ্য কমানোর খাবার হচ্ছে টক দই। আসলে আমরা যে খাবার গুলু গ্রহন করি তা নিয়মিত হজম হওয়া জরুরি। খাবার যত ভাল হজম হবে আপনি তত ভাল খেতে পারবেন। আর টক দই খাবার হজম করতে অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এতে এমন কিছু ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যা আমাদের শরীরের ক্ষতিকারন ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। পেটে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
২) কলাঃ কলা ওজন বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে সহজ ও কার্যকরী খাবার। কলা যেমন সহনলভ্য তেমন দামেও অনেক সস্তা। আপনি যত বেশি কলা খাবেন তত দ্রুত ওজন বাড়াতে পারবেন। প্রতিদিন নিয়মিত ৩টা করে কলা খান। পারলে দৈনিক সকালে কলা দিয়ে জুস বানিয়ে খেতে পারেন।
৩) ডিমঃ ডিম ওজন স্বাস্থ বাড়ানোর জন্য উৎকৃষ্ট খাবার। ডিমে প্রচুর পরিমান প্রটিন রয়েছে। প্রতিদিন সকালে ২টা ডিম দিয়ে নাস্তা সারুন। এছাড়া রাতে ঘোমানোর আগে দৈনিক একটা করে সেদ্ধ ডিম খান। তবে চেষ্টা করবেন ডিমের কুসুম বাদ দিতে। কারন ডিমের কুসুমে রয়েছে ফ্যাট যা আপনার পেটের চর্বি বাড়িয়ে তুলবে।
৪) দুধঃ দুধে থাকা ক্যালরি আপনার স্বাস্থ বৃদ্ধিতে খুব দ্রুত সহায়তা করবে। দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন যা মাংসপেশী গঠনে সহায়তা করে। যারা নিয়নিত ব্যায়াম করে বা কায়িক পরিশ্রম করে তাদের খাদ্য তালিকায় এক গ্লাস দুধ শরীর বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
৫) পরিমিত ঘুমঃ মোটা হওয়ার জন্য নিয়মিত ঘুমানো প্রয়োজন। দৈনিক ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। নিয়মিত ঘুমালে শরীরে নানা রোগ বাসা বাধবে৷ এতে অসুস্থ হওয়ার ও স্বাস্থ্য কমে যাওয়া বা চিকন হয়ে যাওয়ার ঝুকি থাকে। ওজন কমে যাবে। তাই স্বাস্থ্যবান হতে হলে নিয়মিত খাবারের পাশাপাশি পরিমিত ঘুম অবশ্যই প্রয়োজন।
এছাড়াও হলুদ ফলমূল, কাজু বাদাম, কাঠ বাদাম, চিনা বাদাম, কিসমিস, পরিমানমত চিনি নিয়মিত সেবনের ফলে খুব দ্রুত মোটা হওয়া সম্ভব। তবে খাবার পিরিমিত না হলে দেহের স্থুলতা বৃদ্ধি পেয়ে আরও বিড়ম্বনায় পরতে হবে। শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমে যেতে পারে। তাই সকল খাবার সুষম পরিমানে খাওয়া উচিৎ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন