BPL এ চলছে ভুলের ভুলভুলাইয়া
এবারের বিপিএল নিয়ে সমালোচনার যেনো শেষ নেই। শেষ থাকবেই বা কিভাবে বিপিএল যেনো এক ঘরোয়া সার্কাসে পরিনত হয়েছে। দুইদিনে হয়েছে চারটি ম্যাচ যার একটাও সনালোচনার বাইরে নয়। মাঠের আম্পায়ার থেকে শুরু করে টিভি আম্পায়ার কেউ যেনো বাদ যায়নি এই ভুল থেকে। এর চেয়ে মারাত্মক ভুল লাইভ স্কোর যেটা নজরে পরে পুরু ক্রিকেট বিশ্বের।
খুলনা টাইগার্সের ব্যাটার আজম খানের টি-২০ ক্যারিয়ারে ১০টি অর্ধশতকের মালিক। তবে ঢাকার বিপক্ষে তার অর্ধশতক দেখনো হয় ৫০টি। মারাত্মক ভুল ছিলো মোসাদ্দের হোসেন সৈকতকে নিয়ে কুমিল্লা বনাম রংপুরের ম্যাচে তার বলিং Economy দেখনো হয়েছে ১১৮৪.৫৭ আর Strike Rate 0.13।
সাকিবের ওভার হেড বল শুধু মাত্র বাউন্স কল করেই থমকে যায় আম্পায়ার। নিশ্চিত ওয়াইড বল কেনো শুধু বাউন্স দেয়া হয়েছে এ নিয়ে সাকিবের সাথে বাকযুদ্ধ হয় আম্পায়ারদের। যেখানে ধারা ভাষ্যকারও একাধিকবার বলেছেন এটা ওয়াইড বল হয়েছে। এতেই শেষ হয় সম্ম সরকারের আউট নিয়ে রিতিমত সার্কাস লিগের তকমা পেয়েছে ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর বিপিএল। অন ফিল্ড আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্ত আর টিভি আম্পায়ারের ২বার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন এসব যেনো ২২ গজের হাসি তামাশা। ব্রডকাস্টিং ক্যামেরা নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট বিতর্ক।
নিজেদের সার্কাসের মঞ্চটা আরও প্রসারিত করেছে DRS পদ্ধতির পরিবর্তে ADRS বা Alternative Decision Review System রেখেন। এসব ভুল-ত্রুটিতে ভরা বিপিএল মাঠে না জমে উঠলেও সমালোচনায় ঠিকি জমে উঠেছে। এজন্যই হয়তো সাকিব-মাসরাফি পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলেছিলে বিপিএলের যা-তা অবস্থা।
আরও পড়ুনঃ বিপিএল-এ DRS প্রযুক্তি নেই কেন? এর খরচ কতো?
তবে এসব নিয়ে যেনো বিসিবি সভাপতি ও বিপিএল আয়োজক কর্মকর্তাদের কিছুই যায় আসে না। নিজদের ভুলের দায় স্বীকার করা অথবা ত্রুটি থেকে বেড়িয়ে আসার বদলে যেনো সব কিছুইকেই সঠিক সায় দিয়ে যাচ্ছে। অথচ বিসিবি সভাপতি পাপন বলেছিলেন তিনি আইপিএল, বিগবেস আর বিপিএল ছাড়া আর কোন লিগের নামও ঠিক মত শোনে না।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন