কমবে জনসংখ্যা-কি ঘটবে তখন পৃথিবীতে?

কেনো কমবে পৃথিবীর জনসংখ্যা? 


Worl Population


আর মাত্র ৭০ বছর পর কমতে শুরু করবে পৃথিবীর জনসংখ্যা। কি কারনে জনসংখ্যা কমবে এতে করে সমাজ কাঠামোতে কি ধরনের পরিবর্তন ঘটবে? আর পরিস্থিতি মানিয়ে নিতে মানুষ কি করবে? ২০২২ সালের নভেম্বরে মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৮ শত কোটি ছাড়িয়ে গেছে। আর এই ৮ শত কোটি জনসংখ্যা হতে সময় লেগেছে আনুমানিক ৩ লক্ষ বছর। হয়তো খুব দ্রুত এই সংখ্যা দিগুণ হয়ে যাবে। কয়েক বছর আগেও গবেষকরা ধারনা করেছিলেন যেভাবে পৃথিবীর জনসংখ্যা বাড়ছে এতে করে অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবীকে মানুষের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হবে।

কিন্তু গবেষনার এক নতুন ফল দেখছেন গবেষকরা। দুগুন হওয়াতো দূরের কথা এই সংখ্যা ১১ কোটিও হবে না। ইতমধ্যে তারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জনসংখ্যা হ্রাসের আলামত দেখতে পেয়েছে। গবেষনা বলছে পুরুষের শুক্রানোর হার কমছে। কমছে নারীদের গর্ভধারন ক্ষমতা। এতে সংকটে পড়তে পারে মানব জাতি। অনেকে জন্ম নিয়ন্ত্রন করছেন আবার কোন কোন দম্পতি হাজার চেষ্টা করেও সন্তান পাচ্ছে না।

অষ্টেলিয়া, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা এবং এশিয়ার কিছু দেশের জন্মহার ২.১ এর নিচে নেমে গেছে। তাই এসব দেশের জনসংখ্যা নিন্মমূখী। আরও সংশয়ের বেপার হলো পৃথিবীতে এখন যত সংখ্যক শিশু আছে এর সংখ্যা ভবিষ্যতে বাড়বে না বরং কমবে এর অর্থ আগামীদিন গুলুতে বয়ষ্ক মানুষের সংখ্যা বাড়বে। যার ফলে কমে যাবে শ্রমিক আর মানুষ প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়বে। নানা কাজে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার রোবট নিয়োগ দেয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। কৃষি জমির পরিমান কমবে বাড়তে শহরের আয়তন।

একটা দেশের জনসংখ্যা উল্যেখযোগ্য হারে কমলে সেই দেশের উপর কি ধরনের প্রভাব পড়বে? একটা ধারনা নেয়া যেতে পারে ইউরোপের দেশ নেদারল্যান্ড। ২০৪০ সালের মধ্যে নেদারল্যান্ডে জনসংখ্যা ১১ থেকে ১৬ শতাংশ কমবে। দেশটির গবেষকরা বলছেন তখন স্কুলগামী শিশুর অভাবে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। ভাড়াটিয়ার অভাবে কমবে বাড়ি ভাড়া নতুন ঘর বাড়ি নির্মান প্রায় বন্ধ হয়ে যাবে। দোকানে কেনা বেচা কমে যাবে খালি পরে থাকবে খেলার মাঠ। দর্শক পাবেন সিনেমা থিয়েটার অনেকগুলু বন্ধই হয়ে যাবে।

কমতে কমতে মানুষের সংখ্যা কোথায় দিয়ে দাঁড়াবে তা ধারনা করা কঠিন। তবে পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে সক্ষম মানুষ। যেমনটা এখনকার ৮'শ কোটি মানুষের বেলাতেও সত্য। আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশের কিছু দেশের জনসংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। আগামী বছরের শেষেই ভারত চিনকে পেছনে ফেলে জনসংখ্যার শীর্ষে উঠিবে। জাতিসংঘ বলেছে শুধু জনসংখ্যা বৃদ্ধি কোন ভয়ের কারন নয়। মানুষ নিজেদের যেকোন পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিয়ে সেই পরিবেশে টিকে থাকতে সক্ষম।


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন