দেশের তাপমাত্রা প্রতিদিন বাড়ছে ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে জন জীবন। প্রচন্ড তাপ প্রবাহের কারনে দেশে জারি করা হয়েছে হিট এলার্ট। চলতি মাসেই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড ছাড়িয়ে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠে গেছে। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। আবহাওয়া অফস থেকেও সতর্ক বার্তা জারি করা হয়েছে চলমান তাপ প্রবাহ অব্যহত থাকতে পারে। একই সাথে চলতি মাসেই ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠতে পারে বলে আগেই সতর্ক করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ইহুদীরা আল-আকসা কেন ভাঙতে চায়?
তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির সাথে হিট ষ্ট্রোকের ঝুকিও বাড়ে। প্রতি বছর হিট ষ্ট্রোকে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। ইতমধ্যেই তীব্র দাবদাহের কারনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এসময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। হিট ষ্ট্রোক থেকে নিজেকে বাআতে যেসব সতর্কতা অবল্মবন করতে হবে
প্রয়োজন ছাড়া কোনভাবেই বাহিরে যাওয়া যাবে না। গেলেও তাপমাত্রা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে প্রয়োজনে ছাতা ব্যবহার করতে হবে। তাপমাত্রা ৪১ থেকে ৪২ ডিগ্রি অতিক্রম করলে বাইরে না যাওয়া উত্তম। অনেকে বাইরে থেকে এসে ঠান্ডা পানি খেতে শুরু করে যা মোটেও উচিৎ নয়। কারন এতে যেমন ঠান্ডা বসে যায় তেমনি ষ্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ঠান্ডা ও বরফ পানি পুরুপুরি পরিহার করতে হবে। অল্প অল্প করে স্বাভাবিক তাপের পানি পান করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ভারত সারা বিশ্ব থেকে সিগারেটের বর্জ্য কিনছে কেনো
যখন বাইরের তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করে তখন ছায়ায় অবস্থান করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যখন তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পৌছে যাবে তখন ঠান্ডা পানি পান করতে নিষেধ করেছেন চিকিৎসকরা। কারন এতে রক্তনালী সংকোচিত হয়ে ষ্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ঘরে এসেই হাত ও মুখ ধোরা বা পানি দেয়া যাবে না। প্রথমে রুম টেম্পারেচারের সাথে শরীরকে মানিয়ে নিতে হবে।
জুস ও কোমল পানীয় এই জাতীয় পানি পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কোমল পানিয় শরীরকে সাময়িক চাঙ্গা করলেও এর কোন পুষ্টিগুণ নেই। বরং সাস্থের জন্য ক্ষতিকর। বাইরের অতিরিক্ত ঝাল খাবার, খোলা শরবত, বাইরের খাবার যতটা সম্ভব পরিহার করতে হবে। স্বাভাবিক লেবুর পানির শরবত, সেলাইন বা ডাবের পানি পান করা যেতে পারে। বৃষ্টিপাতেও কমবে না তাপমাত্রা তবে বৃষ্টি[পাতের ৩ থেকে ৬ ঘন্টা পর আবার তাপমাত্রা পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাবে। তবে বড় ধরনের বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কমবে বলে ধারনা করছেন আবহাওয়া অফিস। তবে আপাতত পশ্চিমা লঘু নেই ফলে আরও এক সপ্তাহ উল্লেখযোগ্যভাবে তাপমাত্রা কমার কোন সম্ভাবনা নেই।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন