যেকোন পুষ্টিকর খাবার আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারি। শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিন, আমিষ, ক্যালশিয়াম ও অন্যান্য পুষ্টি চাহিদা পূরন ও শক্তি যোগাতে আমরা নানা ধরনের খাবার খেয়ে থাকি। তবে পুষ্টি চাহিদা পূরনের উদ্দেশ্যে যেসব খাবার খাচ্ছি তা আসলেই শরীরে কাজে লাগছে কিনা যেটা বিবেচনার বিষয়। কারন খাবার ও খাবার খাওয়া কিছু মৌলিক নিয়ম রয়েছে। এসব নিয়ম না মেনে খাবার গ্রহন করলে উপকারের চেয়ে শরীরের ক্ষতি বেশি হয়। আজ এমন তিনটি খাদ্য ও খাদ্যাভাদের কথা জানবো। না যেনে বেশিরভাগ মানুষ এমন খাদ্যাভাসে অভ্যস্ত। এর কারনে শরীরের ব্যাথা কখনই কমবে না। শরীরে ব্যাথা থাকা অবস্থায় এসব খাবার এই সময়ে গ্রহন করলে ব্যাথা কমার পরিবর্তে দিনে দিনে বৃদ্ধি পাবে। চলু যেনে নেয়া কোন খাবার কখন গ্রহন করলে শরীরের ব্যাথা দিনে দিনে বৃদ্ধি পায়।
রুটি/পরটা: ওজন কমাতে বেশিরভাব মানুষ রাতের বেলা রুটি গ্রহন করে। আসলেইকি ওজন কমাতে বা ডায়েট করার জন্য রুটি উত্তম খাবার? আসলে এতে ডাক্তারি কোন ভিত্তি নেই। রাতের বেলা আটার তৈরি রুটি বা ময়দা দিয়ে তৈরি পরটা খাওয়া উচিৎ হবে না। রুটি ও পরটা হজম হতে অনেক সময় লাগে। দীর্ঘ সময় লাগে যেসব খাবার সেসব খাবার রাতে গ্রহন করা ঠিক হবে না। এছাড়া হতে পারে গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যা। বাড়তে পারে স্থুলতা বা ওজন।
image source: pixabay |
সালাদ: যারা ভেজিটেবল খেতে পছন্দ করে তাদের জন্য ভেজিটেবল সালাদ নিস্বন্দেহে খুনই প্রিয় খাবার। বিভিন্ন প্রকার শব্জি মিলিয়ে ভেজিটেবল শব্জি তৈরি করা হয়। কাচা শাক-শব্জিতে প্রচুর ফাইবার থাকে। এসব ভেজিটেবল ফাইবার দীর্ঘ সময় পর হজম হয়। তাই রাতের বেলা সালাদ পরিহার করা উচিৎ।
image source: pixabay |
কফি: কফিতে প্রুচুর পরিমানে ক্যাফেইন থাকে। যারা রাতে ঘুম কাটাতে বেশি বেশি কপি পান করে একটা সময় পর তারা প্রচন্ড নিদ্রাহীনতায় ভোগে। প্রয়োজন বা পরিমানের বেশি কফি পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়া কপি ক্যান্ডি, ডার্ক চকলেটস যেসব চকোলেটে কফি বা ক্যাফেইন থাকে এসব পরিহার করতে হবে।
image source: pixabay |
এসব খাবার খেকে শরীরে দীর্ঘ মেয়াদী ব্যাথা বাসা বাধতে পারে। একইভাবে আগের কোন ব্যাথা থাকলে এসব খাদ্য ও খাদ্যাভাস পরিহার করা অতি জরুরী। বিশেষ করে রাতে এমন খাবার গ্রহন করতে হবে যেসব খাবার খুব দ্রুত হজম হয়ে যায়। কারন রাতে খাবার পর আমাদের শরীরের কোন কায়িক পরিশ্রম হয় না।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন