অভিজ্ঞতা Fiverr থেকে ছাড়া ইনকাম করার উপায়

Fiverr থেকে টাকা ইনকাম করা উপায়






ফ্রিলান্সিং মার্কেটপ্লেসের মধ্যে বড় প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ফাইভার, আপওার্ক, পিপল পার আওয়ার, ফ্রিলান্সার ডট কম। পৃথিবীর কোটি কোটি ফ্রিলান্সার নিজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে কাজে লাগিয়ে এসব মার্কেট প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। এসব ফ্রিলান্সিং প্ল্যাটফর্মের কাজ নিজেদের ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে। আগামী দিন গুলুতেও ইনকামের বড় একটা উৎস হতে পারে ফ্রিলান্সিং। ফ্রিলান্সিংকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেয়ার মূল কারন হচ্ছে কর্মে স্বাধীনতা, ব্যাক্তি স্বাধীনতা। বিশেষ করে বাংলাদেশের মত বাজারে যেখানে চাকুরির সংকট এবং ব্যাবসা করতে প্রচুর টাকার লাগে। যেখানে লাখো তরুন ফ্রিলান্সিং করছে। ফ্রিলান্সিং করার করার কোন বয়স নেই। যেকোন বয়সের মানুষ ফ্রিলান্সিং করতে পারে।


আরও পড়ুনঃ বিজ্ঞাপন ক্লিক করে দৈনিক $3 ডলার ইনকাম | Best PTC Income Site


এসব মার্কেটপ্লেসে কাজ করার জন্য দরকার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও ধৈর্য। শুরু থেকে আপনি লাখ টাকা ইনকাম করে ফেলবেন এমন্ন ভাবার কোন সুযোগ নেই। কোন ফ্রিলান্সারই শুরুতে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারে না। সফল ফ্রিলান্সার হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার জন্য সবার আগে ধৈর্য ধরে লেগে থাকতে হবে। একটা কথা মনে রাখতে হবে। ফ্রিলান্সিং ক্ষেত্রে যারা ধৈর্য ধরতে পারে তারাই কেবন সফল হতে পারে। এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে অভিজ্ঞতা। অভিজ্ঞতা ছাড়া কি ফাইভার, আপওয়ার্ক, ফ্রিলান্সার ডট কম ও পিপল পার আওয়ার থেকে ইনকাম করা যায় না? উত্তর হচ্ছে অবশ্যই যায়, যদি যায় তাহলে কিভাবে। মূলত আজকের আর্টিকেলে এমন কিছু কাজের কথা শেয়ার করবো যে কাজগুলু করতে হলে আপনার কোন অভিজ্ঞতা লাগবে না। অভিজ্ঞতা ছাড়াই এসব মার্কেটপ্লেসে কাজ করে প্রতি মাসে শত ডলার পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব।


আরও পড়ুনঃ মাইক্রোজব করে দৈনিক $7 ডলার ইনকাম | Taskpay.ru


ইউটিউব চ্যানেল বানিয়েঃ ইউটিউব পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ভিডিও আপলোড করা হয়ে থাকে। ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করতে হলে চ্যানেল তৈরি করতে হয়। ইউটইউব চ্যানেল বানানো খুবই সহজ কাজ। ফাইভের আপনি ইউটিউব চ্যানেল গিগ বানিয়ে আপলোড করতে পারেন। এমন অনেক বায়ার আছে যারা আপনাকে দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল বানিয়ে নিবে। আর এর বিনিময়ে আপনাকে পেমেন্ট করবে। ইউটিউব চ্যানেল বানানোর জন্য নিশ্চই অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই। আপনি ইউটিউবে ৫ মিনিটের একটা ভিডিও দেখে প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খোলা শিখে নিতে পারেন। একটা প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে সর্বোচ্চ ১০ থেকে ২০ মিনিট লাগে। আর আপনি বায়ারকে এজন্য ৫ থকে ১০ ডলার চার্জ করতে পারেন। পেমেন্ট কত হবে সেটা নির্ভর করবে আপনি বায়ারকে কি কি সার্ভিস দিচ্ছেন। ইউটিউব চ্যানেলের সাথে অনেক সার্ভিস আছে।


১) চ্যানেল বানিয়ে দেয়া

২) চ্যানেল লগো ও আর্ট বানিয়ে দেয়া

৩) সোস্যাল মিডিয়া লিঙ্ক যুক্ত করা

৪) চ্যানেল ডেসস্ক্রিপশন যুক্ত করা

৫) চ্যানেল SEO করা ইত্যাদি।


আপনি অভিজ্ঞতা ছাড়া চ্যানেল বানিয়ে দিতে পারেন। যদি চ্যানেল লোগো ও ব্যানার বানিয়ে চান তাহলে এই অর্ডার বায়ারের কাজ থেকে নিয়ে আপনি কম খরচে যেকোন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজ থেকে লোগো ও ব্যানার বানিয়ে নিতে পারেন। সোস্যাল মিডিয়া লিঙ্ক আপনি নিজেই যুক্ত করতে পারেন।




ইউটিউব ভিডিও আপলোড করেঃ কি মনে হচ্ছে? আপনি নিজে ভিডিও বানিয়ে আপলোড করবেন? না, বরং বায়ার আপনাকে ভিডিও প্রোভাইড করবে সেই ভিডিও আপনি বায়ারের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করবেন। যে চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করতে হবে বায়ার আপনাকে তার চ্যানেলের এক্সেস দিবে। আপনি তার চ্যানেলে ঢূকে তার নিজের ভিডিও আপনি আপলোড করে দিবেন। ভিডিওর টাইটেল, ডেস্ক্রিপশন, ট্যাগসহ ভিডিও আপলোড করার সব ম্যাটেইর‍্যালস বায়ার আপনাকে প্রোভাইড করবে। ভিডিও কখন আপলোড করতে হবে, প্রতি সপ্তাহে কয়টা ভিডিও আপলোড করতে হবে সকল তথ্য বায়ারের সাথে মিটিং করে ফিক্স করতে হয়।




ডকুমেন্টস কনভার্ট করেঃ ফাইল বা ডকুমেন্ট কভার্ট করে ফাইভার থেকে ইনকাম করা যায়। বায়ার আপনাকে কিছু পিডিএফ ফাইল দিবে এসব ফাইল word/excel এ কনভার্ট করে দিতে হবে। যেকোন পিডিএফ ফাইল খুব সহজ ও নির্ভুলভাবে কনভার্ট করতে পূর্ব অভিজ্ঞতা লাগে না। শুধু ইংরেজি ভাষা জানলেই আপন যেকোন পিডিএফ ফাইল Word এ কনভার্ট করতে পারেন। অনলাইনে অনেক ফ্রি ও পেইড কনভার্টার টুল আছে। এসব টুল দিয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে ফাইল কনভার্ট করা যায়।




ভাষা ট্রান্সলেটেঃ ফাইভার সহ অন্যান্য মার্কেটপ্লেস গুলুতে ট্রান্সলেট জবের খুব চাহিদা রয়েছে। ট্রান্সলেট জবের কাজ হচ্ছে কোন ডকুমেন্টে থাকা ভাষাকে অন্য ভাষায় ট্রান্সলেট বা ভাষান্তর করা। ধরুন বায়ার আপনাকে একটা ইংরেজী ডকুমেমট দিয়ে বললো এটাকে বাংলা ভাষায় ট্রান্সলেট করে দিতে। প্রত্যেক পেজের জন্য আপনাকে $5 - $10 ডলার পে করা হবে। ইংরেজী ভাষার উপর অল্প দক্ষতা থাকলেও আপনি অনলাইন টুল ব্যবহার করে যেকোন ভাষা নির্ভুল্ভাবে ট্রান্সলেট করতে পারেন। 



এসব কাজ সম্পর্কে আপনি ইউটিউবে ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখে কিছুটা ধারনা নিতে পারেন। যেহেতু অন্যান্য কাজ করতে হলে দক্ষতার প্রয়োজন হয় তাই এই কাজ গুলু থেকে যেকোন  দুই তিনটা বেছেন নিয়ে ফাইভারে গিগ তৈরি করে আপলোড করুন। গিগ আপলোড করে আপনাকে অনলাইনে থাকতে হবে। আপনার গিগ র‍্যাঙ্ক করানোর জন্য SEO করে নিতে পারেন। SEO করলে গিগ এ ক্লিক আসবে আপনি বায়ার আপনাকে অর্ডার দিবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন